CareerAid.Pro
  • Blogs
    • Undergrad Level
    • Part-Time Career
    • Freshers Zone
    • New in Career
    • Experts Longue
    • Cases to Care!
    • CAP Specials
  • Job Openings
  • Skills & Development
  • Let’s Go Pro!
    • CV & Resume
    • Mock Interviews
    • Internship & Apprenticeship
    • Career Guidance
    • Career Mentoring
    • Networking
    • LinkedIn & Platform Profiling
    • Career Grooming
  • Forum
  • About
Corporate Networking
CAP SpecialsFreshers ZoneNew in Career

কর্পোরেট নেটওয়ার্কিং – (চলছে)

by Saif September 28, 2022
written by Saif 2 mins read

আমরা আজকাল নেটওয়ার্কিং নিয়ে অনেককে অনেক কথা বলতে শুনি। কিন্তু আমাদের মধ্যে কজন ভালভাবে নেটওয়ার্কিং নিয়ে বিস্তারিত জানি? অনেকে না বুঝে পারসোনাল নেটওয়ার্ককে অনেক সময় লবিং বলে আখ্যায়িত করে থাকে। কিন্তু এই দুটোর মধ্যে খুব সূক্ষ্ণ একটি পার্থক্য আছে।

নেটওয়ার্কিং এর মাধ্যমে কোন একটি কাজের জন্য কোন এক বা একাধিক ব্যক্তির নাম তার বা তাদের কাজের দক্ষতা, অভিজ্ঞতা বা যোগ্যতার ভিত্তিতে সুপারিশ করা হয়। অপরদিকে, লবিং এর মাধ্যমে কোন ব্যক্তির সাথে শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিত্তিতে তাকে কোন কাজের জন্য সুপারিশ করা হয় বা সিদ্ধান্তগ্রহণকারী ব্যক্তির সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করা হয়।

সুতরাং আপনারা এখন হয়ত বুঝতে পারছেন যে বর্তমানে যোগ্যতা, কাজের দক্ষতা বা অভিজ্ঞতার সাথে সাথে নেটওয়ার্কিংয়েও আপনাদের দক্ষতা অর্জন করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে গেছে।

অনেক সময় অনেক কোম্পানিতে অনেক ভাল ইন্টারভিউ ও পরীক্ষা দেয়ার পরও দেখা যায় আপনাদের চাকুরীটা হয় না। এর অন্যতম একটি প্রধান কারণ হল নেটওয়ার্কিং। হয়ত এই চাকুরীটার জন্য আপনি সবার চেয়ে বেশি যোগ্য কিন্তু অন্য একজনের ব্যাপারে ভাল সুপারিশ এসেছে (অবশ্যই সেও যোগ্য) তাই তার চাকুরীটা হয়ে গেল আর আপনি বাদ পড়ে গেলেন। আবার অনেক সময় লবিংয়ের প্রভাবে অযোগ্য লোক চাকুরী পেয়ে যায় আর আপনি বাদ পড়ে যান।

এজন্যই আমরা এই সিরিজে জানব কিভাবে একটি ভাল নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা যায় এবং সেটাকে ভালভাবে পরিচর্যা করা যায়।

ইকমার্স কর্পোরেট আড্ডায় অনেকগুলো কোম্পানির কর্মকর্তাদের সাথে ক্যারিয়ার এইড প্রো ফাউন্ডার এডমিন মৃধা সাইফুল!
প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং এর বাস্তব চিত্রগুলো আসলে এমনই!

নেটওয়ার্ক সাধারণত ২ ধরনের হয়ে থাকেঃ

১. সোশ্যাল নেটওয়ার্কঃ এটি সাধারণত বন্ধু বান্ধব, প্রতিবেশি ও আত্নীয়দের মধ্যে হয়ে থাকে। এই নেটওয়ার্কের আর্থিক বা পেশাগত কোন উদ্দেশ্যে গড়ে উঠে না এবং এই নেটওয়ার্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়ে থাকে। বর্তমানে এই নেটওয়ার্ক ফেসবুক, টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও গড়ে উঠছে।

২. প্রফেশনাল বা কর্পোরেট নেটওয়ার্কঃ এই নেটওয়ার্ক চাকুরী বা ব্যবসায়িক কারণে গড়ে উঠে। অনেক সময় বিভিন্ন প্রফেশনাল ট্রেনিং নিতে গিয়েও এই সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমনকি ফেসবুকের মাধ্যেমে আমরা যে এই Career Aid Pro গ্রুপ পরিচালনা করছি সেটার মাধ্যমেও আপনাদের সাথে আমাদের প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে LinkedIn তো হল প্রফেশনাল বা কর্পোরেট নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার চমৎকার একটি প্ল্যাটফর্ম। এই প্রফেশনাল বা কর্পোরেট নেটওয়ার্কই আপনার ক্যারিয়ারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় যা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।

নেটওয়ার্ক সবার সাথে তথ্যের আদান প্রদান সহ সামাজিক, পেশাগত ও ব্যক্তিগত বন্ধন সুদৃঢ় করতে সাহায্য করে। যে মানুষের এই বন্ধন যত সুদৃঢ় তার কাছে তত নতুন নতুন তথ্য থাকে। একারণেই সেই ব্যক্তি পেশাগত দিক থেকে অনেকের চাইতে এগিয়ে থাকে এবং এটি তার আত্নবিশ্বাসকে বাড়িয়ে দেয়।

নেটওয়ার্কিং পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮০% প্রফেশনাল ব্যক্তিবর্গ বিশ্বাস করেন যে তাদের সফলতার পেছনে নেটওয়ার্কিং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছে। প্রায় ১০০% মানুষ বিশ্বাস করেন সরাসরি মিটিং এর মাধ্যমে শক্ত ও দীর্ঘস্থায়ী নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে।

এই আলোচনা থেকে হয়ত কিছুটা হলেও বুঝতে পারছেন যে নেটওয়ার্কিংয়ের গুরুত্ব কত বেশি। চলুন এই নেটওয়ার্কিংয়ের কিছু সুবিধা জেনে নেইঃ

১. সুদৃঢ় পেশাগত সম্পর্কঃ

আপনার পেশাগত সার্কেলে নেটওয়ার্কিং মানে হল তথ্য, সংবাদ, উপদেশ ও পথ নির্দেশনার আদান প্রদান। ব্যাপারটা বুঝতে হয়ত কষ্ট হচ্ছে? চলুন একটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক।

আমি ফিন্যান্সিয়াল এনালাইসিস নিয়ে কাজ করি। এই কাজ যিনি আমাকে শিখিয়েছিলেন তার একবার চাকুরী চলে যাবার পর কিছুটা সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ঐ সময় আমাকে ভারত থেকে আমার একজন এক্সকলিগ বাংলাদেশের একটি স্বনামধন্য গ্রুপ অফ কোম্পানির নতুন কোম্পানিতে একটা জব অফার করে। আমি তার রেফারেন্সে সেই কোম্পানির CEO’র সাথে দেখা করি। কথা বার্তা শেষে দেখলাম আমার এখানে পোষাবে না, তাই জয়েন করব না জানিয়ে দেই। কিন্তু সেই কোম্পানিতে Higher Rank এ কিছু পদ খালি জেনে আমি আমার ঐ বস এর কথা তাকে বলে আসি। সে তার সাথে কথা বলতে রাজি হয় এবং আলহামদুলিল্লাহ তার যোগ্যতায় সে জব পেয়ে যায়।

এখানে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে নেটওয়ার্কিংয়ের কারণেই কিন্তু আমাদের মাঝে সাহায্যের আদান প্রদান হয়েছে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনা বা কারও বিভিন্ন প্রয়োজনে সাহায্য সহযোগিতা করে পেশাগত সম্পর্ককে মজবুত করা যায়। পরবর্তীতে এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই তাদের কাছ থেকে ভবিষ্যতে কোন সাহায্য চাইতে পারবেন। আর এটি প্রকৃতির নিয়ম যে একজনের উপকার করলে ভবিষ্যতে বিনিময় হিসেবে আরেকটা উপকার পাওয়া যায়।

২. জবের অফুরন্ত সুযোগঃ

যার নেটওয়ার্ক যত বেশি প্রসারিত তার কাছে জবের অফার বা সুযোগও বেশি থাকে। আমি আমার নেটওয়ার্কে আমার পছন্দের কোম্পানি গুলোর HR এ যারা আছে তাদেরকে রেখেছি। এতে করে কখনো যদি ঐ কোম্পানিতে সার্কুলার আসে তবে আমি খুব সহজেই জানতে পারি এবং আমার সাথে ম্যাচ করলে আমি এপ্লাইও করতে পারি।

অনেকে আমাকে বলে থাকেন যে “আপনি কিভাবে এমন লোভনীয় জবের অফার পেয়ে থাকেন?” তাদেরকে আমি একটা কথাই বলব – আপনার নেটওয়ার্ক যেমন, আপনার জবের অফারও তেমন হবে।

৩. ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত উন্নয়নঃ

বাংলায় একটি সুপরিচিত প্রবাদ আছে যে সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। সত্যিই তাই; আপনার নেটওয়ার্কে যদি যারা ক্যারিয়ারে ভাল করছে বা কর্পোরেটের বিখ্যাত লোকজন থাকে তবে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভ করার চমৎকার সুযোগ থাকে। এছাড়াও এসব নেটওয়ার্কে নিজের অর্জন দেখিয়েও অনেক নামিদামী ব্যক্তির নজরে আসতে পারেন।

৪. যোগাযোগ ও সামাজিক দক্ষতার উন্নয়নঃ

নেটওয়ার্কিং, যোগাযোগ দক্ষতা ও সামাজিক দক্ষতা প্রত্যেকটি একে অপরের সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। নেটওয়ার্কিং দক্ষতা থাকলে যেমন যোগাযোগ দক্ষতা ও সামাজিক দক্ষতার উন্নয়ন হয়, তেমনি যোগাযোগ দক্ষতা ও সামাজিক দক্ষতা থাকলে নেটওয়ার্কিং দক্ষতার উন্নয়ন হয়। এজন্যই যারা Extrovert, তাদের জন্য নেটওয়ার্কিং অনেক সহজ কাজ। তাহলে তো প্রশ্ন হল যারা Introvert তারা কি নেটওয়ার্কিং করতে পারে না? উত্তর হল, হ্যাঁ তারাও নেটওয়ার্কিং করতে পারে।

নেটওয়ার্কিং হল সাহস ও প্রতিদিনের চেষ্টার ব্যাপার। যারা introvert তাদেরকে নেটওয়ার্ক তৈরি করতে এমন কর্পোরেট ইভেন্টেও যাওয়ার দরকার নেই। তাকে শুরুতেই তার Comfort Zone এর বাইরে গিয়ে অপরিচিত মানুষদের সাথে ধীরে ধীরে কথা বলার অভ্যাস তৈরী করতে হবে। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার এবং বন্ধুসুলভ হাসি দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। এমনকি অতীতে কাউকে সাহায্য করেছেন বা নিয়েছেন তার সাথে কথা বলাও যেতে পারে।

ক্যারিয়ার এইড প্রো ফেসবুক কমিউনিটির মূল এডমিনগণের মধ্যাকার সান্ধ্যকালীন মিটিং!
ব্যস্ততার ফাঁকে মাসে ২-১ বার এমন সাক্ষাৎ-গুলো নিজেদের নেটওয়ার্কিং-কেই মজবুত করে থাকে।

৫. ক্যারিয়ার গাইডেন্স বা সাপোর্টঃ

নেটওয়ার্কিং এর অনেক বড় একটি সুবিধা হল ক্যারিয়ার গাইডেন্স বা সাপোর্ট পাওয়া। আমাদের প্রত্যেকের কেউ না কেউ কর্পোরেটে ভাল অবস্থানে আছে কিন্তু তাদের কজনের সাথে কথা বলতে বা গাইডেন্স নিতে পারেন? অধিকাংশ মানুষই রাজি হবেন যে তাদের অধিকাংশই ব্যস্ত থাকে যার কারণে তাদের কাছ থেকে সাহায্য পাওয়া যায় না। এক্ষেত্রে আপনার ফেসবুক বা লিংকডইন নেটওয়ার্ক দারুণভাবে সাহায্য করে থাকে। এই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনি ক্যারিয়ার গোল সেট করতে পারেন, জব পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গাইডেন্স নিতে পারেন, এমনকি আপনার জন্য কোন ক্যারিয়ার ভালো হবে সেই বিষয়ে নির্দেশনা নিতে পারেন।

(চলবে)


লেখকঃ

Zahirul Islam, CSCA™
Co-founder Admin
Career Aid Pro

September 28, 2022 1 comment
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Simple Skills for Great Career
CAP SpecialsFreshers ZoneNew in CareerPart-Time CareerUndergrad Level

সাধারণ স্কিলে ই-কমার্স ক্যারিয়ার? এখনি জেনে নিন!

by Saif October 2, 2022
written by Saif 7 Minutes read

ডিজিটাল সময় চলছে বিশ্বজুড়ে। ইন্টারনেটের আওতায় আসছে প্রায় সবকিছুই। সেই সাথে তাল মিলিয়ে বাড়ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক বিজনেস, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান! গত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রসার ঘটছে, সেই সাথে সৃষ্টি হচ্ছে বিপুল কর্মসংস্থান। শুরুতে গতিটা অনেক ধীর হলেও সময়ের সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে এই ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের চাহিদা তৈরী হয়েছে, এবং প্রতিদিনই এই চাহিদা বেড়ে চলেছে।

আমাদের অনেকেই আছেন যারা ই-কমার্স কিংবা অনলাইন বাণিজ্যের সাথে কোনোভাবেই সরাসরি সম্পৃক্ত নই। কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে সবাই ই-কমার্সের প্রসার ও প্রচারে প্রভাব রাখছেন। এই প্রভাবকে সরাসরি এনে সাধারন কিছু দক্ষতা কাজে লাগিয়ে আমরা চাইলে এই বিপুল সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রে নিজেদের ক্যারিয়ার গঠনে সহজ সুযোগ লাভ করতে পারি।

বেকারত্বের হতাশার বানী তো সবাই শোনায়, কিন্তু দক্ষতাগুলো কাজে লাগিয়ে এই হতাশাকে শক্তিতে রুপান্তরের কাব্য কজনই বা লিখতে পারে? হ্যা, মূল ব্যাপারটা কিন্তু ঐটাই – নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগানো।

সেরা কিন্তু সাধারণ কিছু দক্ষতা নিয়ে এখানে লিখছি, যেগুলো আপনাকে দিতে পারে দারুণ ক্যারিয়ার গঠনের সহজ সুযোগ।

ক্রিয়েটিভ ডিজাইনিং ভালো বুঝেন?

আপনার জন্য শত শত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান অপেক্ষায় আছে, থাকবে। আপনার যদি ডিজাইন সেন্স থাকে, সেই সাথে থাকে ডিজাইনিং টুলস গুলো নিয়ে খেলা করার কিছুটা সক্ষমতা, আপনার কাজের ক্ষেত্র কেবল বাংলাদেশ নয়; বরং সারা বিশ্বে আপনি হতে পারেন খুব কদর পাওয়াদের একজন। ফ্রিল্যান্সিং মানেই অনেকে কেবল লোগো ডিজাইন বা ফটোশপ-ইলাস্ট্রেটরকেই বুঝে থাকেন এখনো। কিন্তু পাওয়ার-পয়েন্টে দারুণ সব ডিজাইন করা যায়, এনিমেশন করা যায়, লোগো করা যায়, সেটাই বা কজন জানি? আপনার ডিজাইনের মাথা থাকলে সেটাকে শাণিত করুন, এগিয়ে যেতে সময় লাগবে না! বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ভেতরের কথা যদি বলতে যাই – সৃজনশীল ডিজাইনার পেতে বড্ড বেগ পেতে হয় এখনো! সুযোগটা কাজে লাগান, দিন বদলে যাবে।

আপনার ডিজাইনের মাথা থাকলে সেটাকে শাণিত করুন, এগিয়ে যেতে সময় লাগবে না! বিভিন্ন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ভেতরের কথা যদি বলতে যাই – সৃজনশীল ডিজাইনার পেতে বড্ড বেগ পেতে হয় এখনো! সুযোগটা কাজে লাগান, দিন বদলে যাবে।

ছোটবেলা থেকেই কথা বলায় অনেক পটু?

ই-কমার্স ট্র্যাকে মার্কেটিং অনেক বড় একটা প্রভাব বিস্তার করে আছে। বিজনেস টু বিজনেস মার্কেটিং-এর পাশাপাশি ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট, ইস্যুর সমাধান এবং পারসোনাল মার্কেটিং আপনাকে দেখাতে পারে সফল হবার দারুণ এক পথ। কল সেন্টার ম্যানেজমেন্ট কিংবা বিক্রয়োত্তর সেবা খাতে আপনাকেই খুঁজে নিতে পারে ইকমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো! প্রয়োজন কেবল নিজেকে উপস্থাপন করা, আর ভেতরের আমিত্বকে বাইরে বের করে আনা। প্রফেশনালিজমের সাথে এই দক্ষতাকে মিলিয়ে সামনে এগিয়ে আসুন, পেছনে ফেরার সময় বা আগ্রহ কোনোটাই পাবেন না!

ইদানিং বেশীর ভাগ ইকমার্সেই প্রচুর ইন্টার্ন (অন-জব ট্রেইনি ইন্টার্ন) নিচ্ছে। এই পজিশনগুলোতে ভার্সিটি পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা সহজেই জায়গা করে নিতে পারেন যদি কথা বলার পাশাপাশি বেসিক কিছু স্কিল দেখাতে পারেন। লেখালেখি, এক্সেল, স্মার্টলি কথা বলা এসব স্কিলের মধ্যে অত্যন্ত প্রভাবশালী।

লিখতে পারেন ভালো? শব্দ-খেলা আপনাকে আনন্দ দেয়?

তাহলে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন – প্রোডাক্ট কন্টেন্ট, কপিরাইটিং, ব্লগিং বা ব্লগ মার্কেটিং-এ আপনি অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। দরকার কেবল সঠিক প্ল্যাটফরমটি বেছে নেয়া। নিজের লেখার ধার দিয়ে কেটে ফেলতে পারবেন অজস্র বাঁধা। আপনার নিজস্ব কাজ বা বিজনেসের পাশাপাশি অনায়াসে শব্দ নিয়ে খেলা করে আনতে পারেন সাফল্যের আনন্দ।

ব্লগিং করে আয় করার অনেক সুযোগ আছে, আছে পত্রিকা-ম্যাগাজিনে লেখার ভালো ভালো সুযোগ। অনলাইন কন্টেন্ট মার্কেটিং-এ দেরীতে হলেও এদেশে এর কদর বাড়ছে, এবং বাড়তেই থাকবে!

ই-কমার্সের প্রসারের সাথে সাথে এই লেখার গুরুত্ব বাড়ছে প্রতিনিয়ত! অনেকের ধারণা লেখার দক্ষতা লাগে কেবল কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট বিভাগে, কিন্তু না – এর ব্যাপকতা আরো অনেকটা জুড়ে ছড়ানো! দু’তিনটা শব্দ কিংবা এক লাইনের শিরোনাম যেখানে সোসাল মার্কেটিং-এর কোনো ক্যাম্পেইনে টেনে আনতে পারে কয়েক গুণ বেশী আগ্রহী চোখ, সেখানে শব্দের গুরুত্ব বোঝাটা কঠিন হবার কথা নয়!

ইংরেজিতে ভালো?

আপনার জন্য কাজের দুয়ার একটু বেশীই খোলা। ওয়েব কন্টেন্ট, সোসাল মিডিয়া কমিউনিটি ও ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ব্লগিং, প্রোডাক্ট কন্টেন্ট – এমন সব বিশেষায়িত ক্ষেত্রে নিজেকে অনন্য পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারবেন খুব সহজেই। বাংলায় দক্ষতা আপনাকে দিবে দুর্দান্ত গতি। দরকার কেবল আপনার দুটো পদক্ষেপ – এগিয়ে আসুন ই-কমার্সে, মেলে ধরুন নিজেকে। সময়ই আপনাকে আপনার সামনে উপস্থাপন করবে, নতুন কোনো এক সফল ব্যক্তিত্ব হিসেবে!

ডিজিটাল জগতে গণমানুষের আচরণ বা রিএকশন ধরতে পারেন?

আপনি সময় দিন ডিজিটাল মার্কেটিং-এ। নিজেকে আরো শিক্ষিত হবার সময় দিন এই কাজে। ইংরেজিতে দক্ষতা থাকলে এই ক্ষেত্রে পাবেন সহজ সফলতা। নাহলে দক্ষতা বাড়িয়ে নিন, এগিয়ে যাবেন অনেকদূর। দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আগ্রহের সাথে এগিয়ে চলে খুব অল্প সময়ে দেশের সেরা ডিজিটাল মার্কেটার হবার অহরহ উদাহরণ আমাদের চারপাশেই রয়েছে। তাদের লেখাগুলো পড়ুন, তাদের সাথে কথা বলুন। দেখবেন নিজেকে অনেক বেশী সাহসী আর উপযুক্ত মনে হচ্ছে। তারপর – কেবলই এগিয়ে চলার গল্প, লিখবেন নিজের হাতেই।

আরো অনেক স্কিল আছে যেগুলো আপনাকে দারুণ সব ক্যারিয়ার সম্ভাবনার সামনে শক্তভাবে দাড় করাতে পারে। কিন্তু আমি টেকনিক্যাল কোনো দক্ষতা নিয়ে বলতে চাইনি, বলেছি কেবল সাধারণ কিছু দক্ষতাগুলো নিয়ে – যেগুলো আমাদের স্বাভাবিক শিক্ষা জীবনেই আমাদের অনেকের মাঝে দানা বেঁধে থাকে। হয়তো আমরা নিজেরাই সেগুলোর দিয়ে নজর দেয়ার সময় বা প্রয়োজনটা উপলব্ধি করতে সক্ষম হই না। কিন্তু, এমন সাধারণ স্কিলগুলো কাজে লাগিয়েই যে নিজেকে ক্যারিয়ারের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য করে তোলা সম্ভব হয়, এমন উদাহরণ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে আমার চারপাশেই!

স্কিল নেই? কিংবা, নিজেকে বুঝতে পারছেন না! সমস্যা নেই।

নিজেকে নিয়ে ভাবুন। কী করতে ভালো লাগে আর কি করে আপনি আনন্দ পান – সেটার সাথে কেবল বাজারে দক্ষতার চাহিদাকে মেলাতে চেষ্টা করুন। আলোচনা করুন সফল ব্যাক্তিদের সাথে, সোসাল লিডারদের সাথে, ভালো দিক-নির্দেশনা পাবেন খুব সহজেই। মোটিভেশন দিয়ে আনন্দ পান এমন মানুষের সাথে আলাপ করুন। নিজেকে চেনার নতুন দিগন্ত পাবেন।

স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশন/ট্রেইনিং-গুলো আপনাকে সহায়তা করতে পারে দারুণভাবে! ক্যারিয়ার শুরু করার আগেই এগুলোতে একটু সময় দিন, তাহলে দেখবেন কর্মজীবনের অনেক ব্যাপারে নিজেকে এগিয়ে রাখতে পারবেন অন্যের থেকে অনেকটা বেশী!

ক্যারিয়ার এইড প্রো ফেসবুক কমিউনিটিতে প্রায়শই নিজেদের ক্যারিয়ার এবং স্কিল নিয়ে সেশন, কন্সালটেন্সি কিংবা মেন্টরিং-এর আয়োজন করা হয়। কমিউনিটিতে একটিভ থেকে এসব সেশনে নিজে মেলে ধরে নিজের জন্য সেরাটা বুঝে নিন এক্সপার্ট রিসোর্সগণের কাছ থেকে। এখানের সবচাইতে বড় সুবিধা হলো, অনেক সিনিয়র রিসোর্সগণের কাছ থেকে নিঃস্বার্থ সাপোর্ট, যা ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বড্ড বেশীই দরকার।

অপেক্ষাকৃত কম দক্ষতাগুলোকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আর পড়াশুনা দিয়ে ধার দিয়ে নিন। তারপর মাঠে নেমে যান। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ বাড়ছে, সেগুলোকে ধরে ফেলুন। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাববেন না, সেটা দক্ষতার সাথে সাথে আপনা-আপনিই বেড়ে যাবে। 

ব্যবহারিক কাজে নিজেকে জড়ালে প্রায়োগিক দক্ষতা অর্জিত হয়, আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ারে আনা যায় দুর্দান্ত গতি!

অপেক্ষাকৃত কম দক্ষতাগুলোকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আর পড়াশুনা দিয়ে ধার দিয়ে নিন। তারপর মাঠে নেমে যান। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপের সুযোগ বাড়ছে, সেগুলোকে ধরে ফেলুন। পারিশ্রমিক নিয়ে ভাববেন না, সেটা দক্ষতার সাথে সাথে আপনা-আপনিই বেড়ে যাবে।

দারাজ, পিকাবু, মোনার্ক মার্ট কিংবা চালডাল -এর মতো ই-কমার্স জায়ান্টগুলো কেবল শিক্ষাগত যোগ্যতাকেই মূল্যায়ণ করে না, দেখতে চায় আপনার ভেতরে শক্তিটাকেও। যেদিকে আপনার দক্ষতার বাড়ন্তি কিছুটা বেশী, সেদিকেই আপনাকে দক্ষতা প্রমাণ করার সুযোগ দিয়ে থাকে ভালো প্রতিষ্ঠানগুলো। 

শেখার আসলে কোনো বয়স নেই, শেখারও কোনো শেষ থাকতে নেই। নিজেকে চেনার চেষ্টা করুন। ইকমার্স খাতে আপনার জন্য আছে অনেক ক্ষেত্র। কেবল আগ্রহ নিয়ে সঠিক পদক্ষেপটা নেয়াই বাকি। তারপরের গল্প হয়তো আপনি নিজেই লিখে জানাবেন আমাদের। আমরা উৎসাহ ভরে পড়বো একজন সফল মানুষের ক্যারিয়ারের পেছনের কথাগুলো!

লেখকঃ

Mridha Md. Saiful Islam
Founder Admin
Career Aid Pro

October 2, 2022 0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail
Best Books

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমগুলোর প্রকিয়া এবং প্রশিক্ষন

by Saif June 3, 2021
written by Saif

দক্ষ ও যোগ্য কর্মী নিয়োগ দেয়া যেকোন প্রতিষ্ঠানের জন্য চ্যালেঞ্জিং একটি কাজ। কর্মী বাছাইয়ের এ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করার দায়িত্ব পালন করেন একজন হিউম্যান রিসোর্স অফিসার বা এইচআর অফিসার।

এক নজরে একজন হিউম্যান রিসোর্স অফিসার

সাধারণ পদবী: হিউম্যান রিসোর্স অফিসার, হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার
বিভাগ: মানবসম্পদ
প্রতিষ্ঠানের ধরন: বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন: ৳২০,০০০ – ৳৩০,০০০
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৫ – ৩০ বছর
মূল স্কিল: গবেষণার দক্ষতা, সীমিত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণের দক্ষতা, যোগাযোগের দক্ষতা
বিশেষ স্কিল: সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, সহযোগিতার সম্পর্ক তৈরি করতে পারা

একজন হিউম্যান রিসোর্স অফিসার কী ধরনের কাজ করেন?

  • নতুন কর্মকর্তা বা কর্মী নিয়োগের পরিকল্পনা করা;
  • নিয়োগপ্রার্থীদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা;
  • প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা;
  • অফিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা;
  • অফিসের কর্মীদের কোন সমস্যা হলে তার সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেয়া;
  • কোন অফিস কর্মীকে কোন পদে দিলে ভালো হবে, সে ব্যাপারে ভালো ধারণা রাখা;
  • অফিসের কর্মীদের ছুটি সংক্রান্ত বিষয় ব্যবস্থাপনা করা;
  • অফিসের সকল বিভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা ও নিয়মকানুন সম্পর্কে জানানো;
  • অফিসের কর্মীদের পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করার ব্যাপারে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার বা বিভাগীয় প্রধানকে সাহায্য করা;
  • অফিস কর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার খেয়াল রাখা;
  • অফিস কর্মীদের অভিযোগ গ্রহণ করা ও সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া।

একজন হিউম্যান রিসোর্স অফিসারের কী ধরনের যোগ্যতা থাকতে হয়?

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সাধারণত হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বা মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনার উপরে এমবিএ ডিগ্রি থাকা বাধ্যতামূলক। তবে নিয়োগের পদ অনুসারে তা পরিবর্তিত হতে পারে।

বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে।

অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। সাধারণত ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা কাজে আসে।

বিশেষ শর্তঃ নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু সময় নারী অথবা পুরুষের কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা থাকে।

June 3, 2021 1 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail
Best Books

কমিউনেশন ও ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স

by Saif June 3, 2021
written by Saif

রুন সকালবেলা, অফিস যাবার আগে আপনি চা খাচ্ছেন এবং আপনার ছোট্ট মেয়ে গল্প করতে করতে চায়ের কাপটা আপনার কাপড়ের ওপর ফেলে দিল। সম্ভবত, আপনি রেগে যাবেন, আপনার মেয়েকে বকাবকি করবেন, হয়ত আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গেও রাগারাগি করলেন যে কেন সে খেয়াল করেনি মেয়ের দিকে, কাপড় আবার ইস্ত্রি করে পড়তে হবে এবং দেরি হবে, যে কারনে আপনি রাগের মাথায় হয়ত আপনার কিছু জরুরি কাগজ অফিসে নিতে ভুলে যাবেন, যাওয়ার সময় গাড়ি চালাতে গিয়ে আপনি তাড়াহুড়ো করে চালাচ্ছেন, স্পীড বেশি হবার কারনে পুলিশের কাছ থেকে কেস পাওয়া ইত্যাদি কত ঘটনা। তারপর সারাদিন একটা খারাপ দিন পার করার পর, দিন শেষে বাড়ি ফিরে দেখলেন মেয়ের মুখ কালো, আপনার স্বামী বা স্ত্রী সেও কেমন যেন চুপচাপ।

ঘটনা টা অন্যভাবেও হতে পারত। কাপড়ে চা পড়ে যাওয়াটাকে তো আর ফেরানো যাবেনা। কিন্তু সারাদিনের বাকি বাজে ঘটনাগুলো হয়ত হতো না, শুধুমাত্র যদি ঐ মুহূর্তের মেজাজটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত, যদি মেয়ের দিক থেকে ভাবা যেত, কারন সে তো আর ইচ্ছে করে করেনি কাজ টা। শুধু বললেই হতো, “ঠিক আছে, কিছু হয়নি। এরপর সাবধানে থেকো।”

এটা খুব পরিচিত উদাহরন, বিখ্যাত ম্যানেজমেন্ট তাত্ত্বিক স্টিফেন কোভির কাছ থেকে নেয়া। নতুন উদাহরন লিখতে গিয়েও এই উদাহরনটিকেই বেছে নিলাম, কারন, “ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স” বিষয়টা ওনার এই উদাহরনে বেশি পরিস্কার হয়।

“ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স” শব্দ দু’টির সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত আছি; বিশেষ করে, আমরা যারা ট্রেইনিং পেশায় বা মানবসম্পদ বিভাগে কাজ করি বা করেছি, তাদের বেশিরভাগের কাছে এই শব্দটি বেশ পরিচিত। মজার ব্যাপার হল, যারা এই শব্দটিকে চিনি না, তারাও কিন্তু এর ব্যবহার প্রতিনিয়ত করছি, ব্যক্তিগত অথবা পেশাগত জীবনে, হয়ত দক্ষভাবে অথবা হয়ত একটু দুর্বলতার সাথে। আমাদের দেশে চাকরিক্ষেত্রে ম্যানেজমেন্ট বিষয়ক দিকগুলো ইংরেজিতে আলোচনা হয় বলে অনেকেই এগুলো নিয়ে পড়তে চান না বা বুঝতে অসুবিধা হয়। ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স ও সেরকম ই একটি বিষয়, যদিও এর প্রয়োগ শুধুমাত্র চাকরিক্ষেত্রে নয়, বরঞ্চ জীবনের সর্বক্ষেত্রে। চলুন, সহজ ও কথ্য বাংলা ভাষায় পরিচিত হই এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টির সঙ্গে।

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স (EQ- Emotional Quotient/EI- Emotional Intelligence)

যদি সরাসরি বাংলায় অনুবাদ করি তাহলে এটা হয়ে যাবে “আবেগীয় বুদ্ধিমত্তা” বা “আবেগ সংক্রান্ত বুদ্ধিমত্তা”। ইংরেজি IQ এর মত EQ মানুষের সার্বিক সাফল্যের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। সহজ সংজ্ঞা হল, দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের ও অন্যদের আবেগগুলো এবং এগুলোর প্রকাশকে বুদ্ধিমত্তার সাথে ম্যানেজ করা।

বিষয়টি যত সহজে বলে ফেললাম, আসলে ততটা সহজ নয়। যদি তাই হতো, তাহলে চারিদিকে এত সম্পর্কের ভাঙ্গন হতো না। প্রায়ই দেখতে পাই, ভালবেসে দুজন বিয়ে করলেন, কিন্তু একটা পর্যায়ে গিয়ে অত্যন্ত তিক্ততার মধ্য দিয়ে সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়। বাবা মার সঙ্গে সন্তানদের সুন্দর সম্পর্ক ছিল, কিন্তু হঠাৎ করে তাদের মধ্যে চলে এল কেউ কাউকে না বোঝার দোষারোপ। অফিস আর ভালো লাগছে না, অফিসের বসের ব্যবহার ভালো না ইত্যাদি। রাগ, বিরক্তি, হাসি, কান্না ইত্যাদি সবই মাথার ভেতরে আবেগের খেলা। এই খেলা যদি আমাদের নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তখন আমরা হয়ে যাই আবেগের দাস। এবং তখনই হয়ে যায় অনেক অযাচিত ঘটনা। আমার এক ট্রেইনিং-এ এক ভদ্রলোক সবার সামনে স্বীকার করলেন অশ্রুরুদ্ধ কণ্ঠে যে তার বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করায় তিনি তার চাচাকে বল্লম নিয়ে মারতে গিয়েছিলেন। পাশে থাকা অন্যরা তাকে থামিয়েছিল এবং মুহূর্ত পরেই তিনি সম্বিত ফিরে পেয়েছিলেন এবং উপলব্ধি করেছিলেন যে কি ভয়ঙ্কর সর্বনাশ করে ফেলতে যাচ্ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে কিন্তু তার বাবা এবং চাচার মধ্যে সব ঠিকই হয়ে গিয়েছিল!

সব সম্পর্কের মধ্যেই আবেগ আছে, সব পরিস্থিতিতেই তারা আমাদের মাঝে বিদ্যমান। আবেগ, মানুষের সর্বসময়ের সঙ্গী। অনেককেই বলতে শুনেছি, “অফিসে আবেগ নয়, ওটা বাড়িতে রেখে এস।” বাস্তবে এটা সম্ভব নয়। অফিসের “আমি” আর বাসার “আমি” আলাদা দুটি মানুষ নয়। তবে হ্যাঁ, আবেগকে ম্যানেজ করতে পারা উচিৎ, সেটা অফিসেও, বাসাতেও। আমাদের প্রত্যেকেরই ছোট বা বড় একটি সমাজ রয়েছে। এখানে আবেগতাড়িত হয়ে অনেক কথা, অনেক কাজ করে আমরা ফেলতেই পারি, কিন্তু সেটা নিজের বা অন্যের জন্য অনেকসময় মারাত্মক মানসিক বা কখনো শারীরিক কষ্টের কারন হয়ে যায়, হয়ত তা কখনো ঠিকও হয়না।

ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের চর্চা

৪ টি দিক খেয়াল রাখতে হবে ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের চর্চার জন্য। আরেকভাবে বলতে গেলে, নিম্নলিখিত চারটি বিষয় নিয়েই চর্চা করতে হবে।

নিজেকে চেনা ও বোঝা বা আত্মসচেতনতা (Self-Awareness)

বোঝার চেষ্টা করুন যে আপনার বিভিন্ন আবেগসংক্রান্ত দিকগুলো। আমাদের আবেগগুলোকে যদি ৫টি মূল ভাগে ভাগ করি, তাহলে তারা হবে আনন্দ, দুঃখ, ঘৃণা, ভয় এবং রাগ (পল একম্যান এর তত্ত্ব অনুযায়ী)। যারা পিক্সার (Pixar) এর “ইনসাইড আউট” (Inside Out) সিনেমাটি দেখেছেন, তারা হয়ত এদের সঙ্গে পরিচিত। চিনতে চেষ্টা করুন আপনার ভিতরের এই ৫ চরিত্রকে। এরা কোন পরিস্থিতিতে কীরকম আচরন করে, কোন ধরনের ঘটনা এদের মধ্যে কাকে উজ্জীবিত করে, এটা বোঝার চেষ্টা করুন। যখন এগুলো তাদের কার্যক্রম শুরু করে, কে বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে এবং কেন, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন। যেমন মনে করুন, আপনি হয়ত সামান্যতেই রেগে যান, মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন না। বুঝতে চেষ্টা করুন, কি কি ঘটনা আপনাকে সহজেই রাগিয়ে দিচ্ছে বা দেয়। এই রাগ কি অন্য কোন ঘটনার কারনে আপনার ভিতরে জমে আছে? কোন নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা সমাজে কি এরকম লাগে আপনার? বুঝতে চেষ্টা করুন।

নিজেকে ম্যানেজ করা (Self-Management)

নিজেকে যদি বুঝতে শুরু করে থাকেন, তাহলে সে বুঝতে পারা বিষয়গুলো নিজেকে বার বার বোঝান। পরিস্থিতি ভালো খারাপ যাই হোক না কেন, খুঁজে পাওয়া কারনগুলো যেন আপনার আবেগগুলো নিয়ন্ত্রনের বাইরে আর পাঠাতে না পারে, সে ব্যপারে সচেতন থাকার চর্চা করুন। প্রথম প্রথম অসুবিধা হবে, অনেক ক্ষেত্রেই পেরে উঠবেন না। ধৈর্য ধরুন, চেষ্টা করুন, এক সময় ম্যানেজ করতে পারবেন।

অন্যদেরকে বা সমাজকে বোঝা (Others or Social Awareness)

আগেই বলে নেয়া ভালো, সমাজ বলতে এক্ষেত্রে আমরা নিজেকে বাদে অন্য যে কাউকে ধরে নিচ্ছি, হোক সে আপনার বাবা মা, স্ত্রী, বন্ধু বা সহকর্মী। অর্থাৎ, লেখাটি বোঝার সুবিধার্থে নিজ স্বত্বা বাদে অন্য যে কাউকেই আমরা সমাজের অংশ হিসেবে দেখব।

ঠিক যেমন নিজেকে বোঝার জন্য নজর রেখেছিলেন নিজের উপর, এবার একই কাজ করুন আপনার চারপাশের মানুষগুলোর সাথে। হতে পারে সেটা আপনার স্বামী বা স্ত্রীর সঙ্গে, বাবা মার সঙ্গে, ছেলে মেয়ের সঙ্গে, ভাই বোন, বন্ধু বান্ধব অথবা আপনার বাড়িতে যিনি কাজ করেন, তাকেও লক্ষ্য করতে পারেন। কোন সময়ে তারা কীরকম আচরন করে, কোন পরিস্থিতিতে, কোন কথায় তারা রেগে যায়, খুশি হয়, কষ্ট পায় ইত্যাদি। কোন বিপদ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কি তারা? এ সময় কোন কথা তাদেরকে বলা উচিৎ হবে? কিছু না বলেও কি ধরনের আচরন তাদের সঙ্গে করা উচিৎ? আবার সারদিন প্রশ্ন করতে যাওয়াও ঠিক নয়। একটু নজর রাখুন, লক্ষ্য করুন, নিজেকে অন্যের যায়গায় বসিয়ে বোঝার চেষ্টা করুন। কাজটা সহজ নয়, কিন্তু আস্তে আস্তে যখন আয়ত্তে আসতে শুরু করবে, আপনি আপনার চারপাশের এই মানুসগুলোকে এমন সব সমাধান দিতে পারবেন, যা তারা নিজেরাও হয়ত ভাবতে পারবে না। তবে, এই বিষয়ে চর্চা করার সর্বপ্রথম শর্ত হল, শুনতে হবে। উত্তর কি দেব সেই চিন্তা করে না, শোনার উদ্দেশ্যে, বোঝার লক্ষ্যে শুনতে হবে। আমাদের দুটো কান, মুখ একটা। কিন্তু, কাজ করি এমন যেন কান একটা আর মুখ দুটো। এ অভ্যাস পরিহার করুন, নইলে আপনার সমাজকে বুঝতে অসুবিধা হয়ে যাবে।

সম্পর্ক বা সমাজকে ম্যানেজ করা (Relationship or Social Management)

এটাই হল ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্সের মূল লক্ষ্য। যে মুহূর্তে আপনি আপনার আশেপাশের মানুষগুলোকে বুঝতে শুরু করবেন, তখন আপনার জন্য তাকে ম্যানেজ করা বা তার সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ম্যানেজ করা অনেক সহজ হয়ে যায়। আপনি এখন জানেন যে আপনার স্ত্রী বা স্বামী কোন সময়ে কোন ধরনের আচরন করতে পারে, কখন আপনার বন্ধুটি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বোধ করছে এবং তাকে কিভাবে চাঙ্গা করে তুলতে হবে, আপনার সহকর্মীকে কোন কথাটা বলা ঠিক হবে না, আপনার অধিনস্ত টিম মেম্বার দের মধ্যে কাকে কিভাবে বলতে হবে ইত্যাদি আরও অনেক বিষয় আপনার কাছে অনেকটা পরিষ্কার হয়ে আসবে। অনেক সময়ে অনেক কথা আমরা বলে ফেলি, যা অন্যদেরকে আঘাত করে বসে এবং আমরা সেটা বুঝতেও পারি না। যখন আপনি আপনার চারপাশের মানুষদের সম্পর্কে আরও ভালো করে বুঝবেন এবং বোঝার চেষ্টা করবেন, তখন আপনি এরকম অনেক বিষয়ে না বুঝে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে পারবেন।

পরিশেষে

আবেগ আমাদের সবার মধ্যেই আছে, তবে সেগুলোর প্রকাশভঙ্গী একেকজনের একেক রকম। কিন্তু যেটা জরুরি সেটা হল, আবেগগুলো যেন আমাদের সর্বময় নিয়ন্ত্রক না হয়ে যায়। আবেগের প্রকাশ থাকুক আপনার নিয়ন্ত্রণে, ভালো থাকুক আপনার সম্পর্ক গুলো।।

June 3, 2021 0 comment
0 FacebookTwitterPinterestEmail
Best Books

আপনার ক্যারিয়ার, আপনার সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে

by Saif June 3, 2021
written by Saif

01 যদি আপনার ক্যারিয়ার পরিবর্তন দরকার হয় তবে সিদ্ধান্ত নিন

আপনার কর্মজীবনের পরিবর্তন সম্পর্কে ভাবতে শুরু করার আগে আপনাকে অবশ্যই কোনটি দরকার তা নির্ধারণ করতে হবে। আপনি কেবল একটি নতুন কাজ খুঁজে পেতে পারেন, একটি সহজ কাজ নয়, তবে সম্পূর্ণ ক্যারিয়ারের পরিবর্তনের চেয়ে সহজ।

02 নিজেকে মূল্যায়ন করুন

আপনি যদি কোন পেশা পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেন তবে আপনাকে নিজের মূল্যায়ন, দক্ষতা, ব্যক্তিত্ব এবং স্বার্থপর সরঞ্জামগুলি ব্যবহার করে আগ্রহগুলি মূল্যায়ন করতে হবে, যা প্রায়শই ক্যারিয়ার পরীক্ষা বলা হয়। স্ব-মূল্যায়ন সরঞ্জামগুলি এমন একটি পেশার তালিকা তৈরি করতে ব্যবহার করা হয় যা প্রশ্নের একটি সিরিজের উত্তরগুলির উপর ভিত্তি করে উপযুক্ত মনে করা হয়। কিছু লোক ক্যারিয়ার কাউন্সেলর বা অন্যান্য কর্মজীবন উন্নয়ন পেশাদারদের পরিচালনা করতে পছন্দ করে তবে অনেকেই ওয়েবে বিনামূল্যে উপলব্ধ ক্যারিয়ার পরীক্ষাগুলি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন।

03 এক্সপ্লোর করার জন্য একটি তালিকা তৈরি করুন

স্ব-মূল্যনির্ধারণ সরঞ্জামগুলির ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরি পেশগুলির তালিকাগুলি দেখুন। তারা সম্ভবত লম্বা। আপনি পাঁচ থেকে দশটি পেশার মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিয়ে আসতে চান। একাধিক তালিকা প্রদর্শিত যে বৃত্ত পেশা। সার্কেল পেশা আপনি পূর্বে বিবেচনা করা হতে পারে এবং আপনি আকর্ষণীয় খুঁজে পেতে পারেন। “এক্সপ্লোরেশন এক্সপ্লোরেশন” শীর্ষক একটি পৃথক তালিকায় এই পেশাগুলি লিখুন।

04 আপনার তালিকায় পেশা অন্বেষণ করুন

আপনার তালিকায় প্রতিটি পেশার জন্য, আপনি কাজের বিবরণ, শিক্ষাগত এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয়তা, চাকরির দৃষ্টিভঙ্গি, অগ্রগতির সুযোগ এবং উপার্জনগুলি দেখতে চাইবেন।

05 আপনার তালিকা নিচে সংকীর্ণ অবিরত

আপনার গবেষণা থেকে আপনি যা শিখেছেন তার উপর ভিত্তি করে সম্ভাব্য পেশাগুলির তালিকাটি নীচে তুলুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি এমন একটি পেশার প্রস্তুতির জন্য সময় ও শক্তিকে প্রস্তুত করতে ইচ্ছুক নন যার জন্য একটি উন্নত ডিগ্রী প্রয়োজন হয়, অথবা আপনি কোন বিশেষ পেশা অপর্যাপ্ত হওয়ার জন্য উপার্জন বিবেচনা করতে পারেন।

06 তথ্যপূর্ণ সাক্ষাত্কার পরিচালনা

এই মুহুর্তে, আপনার তালিকায় কেবল কয়েকটি পেশা থাকতে হবে। আপনি এখন আরও গভীরভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এই তথ্যের সেরা উত্স হল এমন ব্যক্তি যারা আপনার আগ্রহের পেশাসমূহ সম্পর্কে পুরোপুরি জ্ঞান রাখে। তারা কে চিহ্নিত করে এবং তাদের সাথে তথ্যপূর্ণ সাক্ষাত্কার পরিচালনা করে।

07 আপনার লক্ষ্য সেট করুন

এখন পর্যন্ত আপনি একটি পেশা আপনি অনুসরণ করতে চান সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটি একটি প্ল্যান স্থাপন করার সময় যাতে আপনি অবশেষে সেই ক্ষেত্রটিতে চাকরি খুঁজে পেতে পারেন, তবে প্রথমে আপনাকে কিছু লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

08 একটি কর্মজীবন কর্ম পরিকল্পনা লিখুন

এখন আপনি আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন, আপনি কিভাবে তাদের পৌঁছাতে হবে তা নির্ধারণ করতে হবে। আপনার দীর্ঘ এবং স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্যগুলি অনুসরণ করার জন্য একটি কর্মজীবন কর্ম পরিকল্পনা আপনাকে গাইড করতে সহায়তা করবে।

09 আপনার নতুন ক্যারিয়ারের জন্য ট্রেন

আপনার ক্যারিয়ার পরিবর্তন করার অর্থ হতে পারে আপনাকে কিছু প্রশিক্ষণ দিতে হবে, তবে আপনার নতুন ক্যারিয়ারে আপনি স্থানান্তরযোগ্য দক্ষতাগুলি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি কোন প্রশিক্ষণ শুরু করার আগে, আপনার কাছে ইতিমধ্যে কী দক্ষতা রয়েছে এবং কোনটি অর্জন করতে হবে তা খুঁজে বের করুন। নতুন দক্ষতা শেখার একটি ডিগ্রী উপার্জন, একটি ইন্টার্নশীপ করছেন বা কোর্স গ্রহণ ফর্ম নিতে পারে।

10 আপনার বর্তমান ক্যারিয়ারে বিদায় বলুন

ক্যারিয়ার পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত আপনার কাজের ক্ষতি দ্বারা অনুপ্রাণিত হতে পারে। এই ক্ষেত্রে, আপনি আপনার কাজ ছেড়ে সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না। যাইহোক, আপনি যদি বর্তমানে নিযুক্ত হন, তবে আপনাকে আপনার চাকরি ছেড়ে দিতে হবে এবং এর সাথে সম্পর্কিত কিছু সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে।

June 3, 2021 0 comment
1 FacebookTwitterPinterestEmail
Best BooksCases to Care!

সিভি তৈরি করতে যে বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে

by Saif June 3, 2021
written by Saif

বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই নানা প্রয়োজনে জীবনবৃত্তান্ত বা সিভি তৈরি করতে হয়। আর বৃত্তি বা কোনো সভা সম্মেলন ফেলোশিপে অংশগ্রহণের জন্যও এখন সিভি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিজের পরিচয়, অর্জন, যোগ্যতার কথা সংক্ষেপে কীভাবে তুলে ধরব? সিভিতে কী থাকবে আর কী থাকবে না? পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) সহকারী অধ্যাপক ও ব্যবসায় যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ সাইফ নোমান খান। নমুনা হিসেবে এখানে বাংলায় লেখা সিভি তুলে ধরা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে যেহেতু ইংরেজি ভাষায় সিভি লিখতে হয়, তাই একই নিয়ম ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

সিভিতে যা যা থাকবে

নাম ও যোগাযোগের ঠিকানা

সিভির প্রথম অংশে পুরো নাম লিখতে হবে। কোনোভাবেই ডাকনাম বা ছদ্মনাম লেখা যাবে না। মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদপত্রে যে নাম লেখা আছে তা-ই লিখতে হবে। নামের আগে মিস্টার বা মিসেস ব্যবহার করা যাবে না।

ঠিকানা লেখার ক্ষেত্রে চিঠিতে যোগাযোগ করা যায়, এমন ঠিকানা স্পষ্ট কিন্তু সংক্ষিপ্ত আকারে লিখতে হবে। যোগাযোগের জন্য দিতে হবে মুঠোফোন নম্বর। অপ্রয়োজনে ২-৩টি ফোন নম্বর লেখা যাবে না। আর বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে ই-মেইল ঠিকানার ক্ষেত্রে। iamgreat@gmail. com বা sweetdreams@ymail. com—এ ধরনের হাস্যকর ই-মেইল ঠিকানা ব্যবহার করা যাবে না। নিজের নামের সঙ্গে মেলে এমন সংক্ষিপ্ত ই-মেইল ঠিকানা তৈরি করে সিভিতে ব্যবহার করতে হবে।

লিংকড–ইন প্রোফাইলের আইডি ব্যবহার করতে পারেন। প্রয়োজন না হলে ফেসবুক আইডি যুক্ত না করাই শ্রেয়। তবে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট কিংবা নিজ কাজের পোর্টফোলিও প্রকাশিত হয়েছে এমন ওয়েবসাইটের নাম লেখা যেতে পারে।

ছবি

সিভিতে যে ছবি যুক্ত করবেন তা যেন সাম্প্রতিক সময়ে তোলা হয়। ছবির পটভূমি এক রঙের হতে হবে। চুল কিংবা দাড়ি পরিপাটি থাকতে হবে ছবিতে। চেহারা বোঝা যায় এমন যেকোনো ছবি ব্যবহার করতে পারেন।

পেশাগত লক্ষ্য

সিভিতে অবশ্যই আপনার পেশাগত লক্ষ্য লিখতে হবে। ভাষা হবে সংক্ষিপ্ত ও প্রাঞ্জল, গোছানো ভাষায়। যদি ইংরেজিতে লেখেন, বানান বা ব্যাকরণ যেন ভুল না হয়। যে পদে আবেদন করবেন তার সঙ্গে সম্পৃক্ত লক্ষ্য লিখতে হবে। আজগুবি, অপ্রাসঙ্গিক কিংবা কাল্পনিক কোনো বাক্য লেখা যাবে না।

শিক্ষা

সদ্য যে ডিগ্রি অর্জন করেছেন, সেটা লিখতে হবে প্রথমে। কোন বিষয়ে, কোন অনুষদে পড়েছেন, কত সালে পরীক্ষা দিয়েছেন, গ্রেড পয়েন্ট বা ফলাফল কী ছিল, এসবও উল্লেখ করতে পারেন। এখনো পাস করে না থাকলে ‘পরীক্ষার্থী’ শব্দটি লিখুন। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায় থেকে ক্রমানুসারে মাধ্যমিক পরীক্ষা পর্যন্ত ফলাফলের তথ্য লিখতে হবে।

একাডেমিক প্রকাশনা বা প্রকল্প

স্নাতকপর্যায়ে পড়াকালীন কোনো গবেষণা বা রিপোর্ট প্রকাশিত হলে তা লিখুন। প্রকৌশল পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নিজের কোনো প্রকল্পের নাম যুক্ত করতে পারেন। যাঁরা ব্যবসায়ে প্রশাসনে পড়ছেন, তাঁরা ইন্টার্ন হিসেবে কাজ করলে তার রিপোর্টের নাম লিখুন। কোনো জাতীয় বা আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিলে তার সংক্ষিপ্ত তথ্য যুক্ত করুন।

পেশাগত অভিজ্ঞতা

সাধারণত স্নাতকপড়ুয়া বা সদ্য উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের সরাসরি পেশাগত অভিজ্ঞতা থাকে না। কিন্তু যে পদের চাকরির জন্য সিভি তৈরি করছেন, সেই সংশ্লিষ্ট কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তা যুক্ত করুন। যেমন কোনো মেলায় বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করলে তা লিখুন বা কোনো কল সেন্টারে কাজ করে থাকলে তা-ও লিখতে পারেন। কোন পদে কাজ করেছেন, কত দিন করেছেন তা উল্লেখ করুন। কোনো সম্মেলন বা অনুষ্ঠানে আয়োজক হিসেবে কাজ করে থাকলে তা-ও লিখুন।

স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ

আপনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যে কাজ বা সংগঠনে যুক্ত তার তথ্য লিখতে হবে। কত দিন ধরে কাজ করছেন, কোন পদে কাজ করছেন তা লিখুন। প্রয়োজন হলে, প্রতিটি কাজের সঙ্গে সংক্ষিপ্ত করে কাজের বর্ণনা দিন।

কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ

বিশ্ববিদ্যালয়-জীবনে যেসব কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন বা প্রশিক্ষণে অংশ নিয়েছেন তার তালিকা যুক্ত করতে হবে। চাকরির পদের সঙ্গে গুরুত্ব বুঝে কর্মশালা ও প্রশিক্ষণের তথ্য যোগ করুন। কর্মশালার নাম ও আয়োজকদের তথ্য সংক্ষিপ্ত করে লিখুন। ধরুন, আপনি বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে চাকরির জন্য সিভি তৈরি করছেন, তাহলে বিক্রয় ও বিপণন-সম্পর্কিত তথ্য যোগ করুন। অনলাইনের মাধ্যমে কোনো ডিগ্রি বা প্রশিক্ষণ নিলে তা-ও সিভিতে যুক্ত করুন।

ভাষা দক্ষতা

সাধারণভাবে বাংলাদেশে চাকরির আবেদনের জন্য বাংলা ও ইংরেজি জানা আবশ্যিক। ইংরেজি ভাষা দক্ষতা-সংশ্লিষ্ট কোনো পরীক্ষা—যেমন আইইএলটিএস বা টোয়েফলে অংশ নিলে তার স্কোর লিখুন। অন্য কোনো ভাষা জানলে সেটিও উল্লেখ করুন।

কম্পিউটার-দক্ষতা

যে পদের জন্য সিভি তৈরি করছেন, সেই পদের কথা মাথায় রেখে কম্পিউটার–দক্ষতা লিখতে হবে। এখন সব পর্যায়ের চাকরির জন্য মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্ট জানাকে সাধারণ দক্ষতা হিসেবে ভাবা হয়। মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল ও পাওয়ারপয়েন্টের কাজ খুব ভালো জানলে তা অবশ্যই সিভিতে যুক্ত করবেন। ডেটা অ্যানালাইসিস, ম্যাক্রো কিংবা মাইক্রোসফটের কোনো প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে তা লিখতে পারেন। এ ছাড়া টেকনিক্যাল সফটওয়্যার যেমন ম্যাটল্যাব বা এসপিএসএস শেখা থাকলে সেটিও উল্লেখ করুন।

শখ ও আগ্রহ

নিজের দু-একটি আগ্রহ ও শখের কথা লিখতে পারেন।

রেফারেন্স

সদ্য স্নাতকদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরাই ভালো রেফারেন্স হিসেবে কাজ করেন। এ ক্ষেত্রে শিক্ষককে জানিয়ে তাঁর নাম ও পদবি ব্যবহার করুন। কখনো কখনো চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে রেফারেন্সে যাঁর নাম থাকে, তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাই সঠিক পদ ও পরিচয় ব্যবহার করুন। অন্য কোনো পেশার পরিচিত কোনো পেশাজীবীর নাম ও পদবি যুক্ত করতে পারেন।

অঙ্গীকারনামা

সিভিতে যুক্ত আপনার সব তথ্য সঠিক ও নির্ভুল তা লিখতে হবে। লেখার নিচে আপনার স্পষ্ট স্বাক্ষর থাকতে হবে। চাকরিদাতা আপনার তথ্য যাচাই করার আইনগত অধিকার রাখেন, তাই কোনো ভুল তথ্য দেবেন না।

মনে রাখা জরুরি

■ অনেকেই অন্যের জীবনবৃত্তান্ত প্রায় হুবহু অনুকরণ করে নিজের সিভি তৈরি করেন। এটা একেবারেই ঠিক নয়। চাকরিদাতারা কিন্তু সিভিতে চোখ বুলিয়েই ব্যাপারটা বুঝতে পারেন। অন্য কাউকে দিয়ে সিভি তৈরি করালেও সেটা ধরা পড়ে যায়। যে নিজের সিভি নিজে তৈরি করতে পারে না, একজন চাকরিদাতা কোন ভরসায় তাঁকে দায়িত্বশীল পদে নিয়োগ দেবেন? তাই জীবনের প্রথম সিভি নিজেকেই তৈরি করতে হবে। ইন্টারনেট ঘেঁটে দারুণ কিছু সিভির নমুনা পাওয়া যাবে। সেগুলো দেখে একটা ধারণা নিতে পারেন। তারপর নিজের সিভি নিজেই লিখুন। এখানে আমরা একটা নমুনা সিভি তুলে ধরেছি স্রেফ ধারণা দেওয়ার জন্য। কোনোভাবেই এটা হুবহু অনুকরণ করা ঠিক হবে না।

■ সিভিকে আকর্ষণীয় করে তুলতে অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফের বদলে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করতে পারেন। কখনোই ‘প্রথম পুরুষে’ সিভি লিখবেন না। যেমন ‘২০১৬ সালে আমি জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছি’ না লিখে বুলেট দিয়ে লিখতে হবে, ‘জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম, ২০১৬’। সংবাদপত্রের শিরোনাম যেমন স্পষ্ট ও সংক্ষিপ্ত হয়, তেমন করে তথ্য যুক্ত করতে হবে।

■ প্রথম সিভি তৈরির পর তা অভিজ্ঞ দু-একজনকে দেখিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষক বা বিভাগের কোনো সিনিয়রের মতামত নেওয়া যেতে পারে।

■ সিভিতে কোনোভাবেই বানান ভুল করা যাবে না। বারবার মনোযোগ দিয়ে পড়ে, সম্পাদনা করতে হবে। সিভি যেন কোনোভাবেই দুই পৃষ্ঠার বেশি না হয়। এক পৃষ্ঠায় শেষ করতে পারলে ভালো।

■ একই সিভি অনেক জায়গায় জমা দেওয়া বা ই-মেইল করা ঠিক হবে না। চাকরি ও পদভেদে সিভির ভাষা পরিবর্তন করতে হবে। পেশাগত লক্ষ্য কিন্তু একেক পদের জন্য একেক রকম হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

■ এ-ফোর আকারের কাগজের মাপে সিভি তৈরি করতে হবে। চারপাশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ‘মার্জিন’ রাখতে হবে। সাদা কাগজে কালো কালিতে তথ্যগুলো লেখা থাকবে। সিভির পটভূমিতে অন্য কোনো রং ব্যবহার না করাই ভালো।

■ শুধু সিভি কোথাও জমা দেবেন না বা ইমেইল করবেন না। সিভির সঙ্গে ‘কভার লেটার’ যুক্ত করতে হবে। আপনি কেন চাকরির জন্য আবেদন করছেন, আপনি কেন যোগ্য, তা সংক্ষিপ্ত আকারে কভার লেটারে লিখতে হবে।

June 3, 2021 0 comment
1 FacebookTwitterPinterestEmail

Recent Blog Posts

  • কর্পোরেট নেটওয়ার্কিং – (চলছে)

  • সাধারণ স্কিলে ই-কমার্স ক্যারিয়ার? এখনি জেনে নিন!

  • হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমগুলোর প্রকিয়া এবং প্রশিক্ষন

  • কমিউনেশন ও ইমোশনাল ইনটেলিজেন্স

  • আপনার ক্যারিয়ার, আপনার সিদ্ধান্ত এবং পরিকল্পনার উপর নির্ভর করে

Categories

  • Best Books (4)
  • CAP Specials (2)
  • Cases to Care! (1)
  • Freshers Zone (2)
  • New in Career (2)
  • Part-Time Career (1)
  • Undergrad Level (1)

Follow Us


  • 27/C, Block E, Asad Avenue, Mohammadpur, Dhaka-1207
  • carreraidpro@gmail.com
  • 1-800-800-2299 (Support)

Keep in touch

Facebook Twitter Instagram Linkedin Youtube

Community

  • About
  • Blogs
  • Jobs
  • Contact
  • Forum
  • R & D
  • Tech Blog
  • Teaching Center

Categories

  • Undergrad Level
  • Part-Time Career
  • Freshers Zone
  • New in Career
  • Experts Longue
  • Cases to Care!
  • CAP Specials

Services

  • CV & Resume
  • Mock Interviews
  • Internship & Apprenticeship
  • Career Guidance
  • Career Mentoring
  • Networking
  • LinkedIn & Platform Profiling
  • Career Grooming

@2011 - All Right Reserved. Designed and Developed by Webase

CareerAid.Pro
  • Blogs
    • Undergrad Level
    • Part-Time Career
    • Freshers Zone
    • New in Career
    • Experts Longue
    • Cases to Care!
    • CAP Specials
  • Job Openings
  • Skills & Development
  • Let’s Go Pro!
    • CV & Resume
    • Mock Interviews
    • Internship & Apprenticeship
    • Career Guidance
    • Career Mentoring
    • Networking
    • LinkedIn & Platform Profiling
    • Career Grooming
  • Forum
  • About